Vut

কিসের ছায়া ওটা


প্রচুর মূত্র বিসর্জন এর চাপ লেগেছে তাই বেড থেকে হুড়মুড় করে উঠলাম।।
ইদানিং খুব এই চাপটা পাই। হয়তো দিনের বেলা প্রচুর পানি খাওয়ার কারণে এমনটা হয়েছে।
এরপর আর কি??? রুমের দরজা খুলে বের হয়ে যাচ্ছি ওয়াশরুমের দিকে।।
পুরো বাড়িটা অন্ধকার। আসলে কেউ লাইট জ্বালিয়ে ঘুমিয়ে থাকতে পারে না। তাই লাইট অফ থাকে সব।

এই মুহুর্তে আমার ঠিক ভূতের ভয় লাগছে। মনে হচ্ছে কে জানি পেছন থেকে আসবে। কিন্তু কিছু করার নেই। যেতে তো হবেই।
লোকে শুনলে আবার এইসব নিয়ে হাসাহাসি করবে।

তো ভয়ে ভয়ে ওয়াশরুমে ঢুকলাম। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কাজটা সেরে বেডে ফিরতে হবে।
কাজ শেষ তো তড়িঘড়ি ওয়াশরুম থেকে বের হলাম।
ঠিক ঐ সময় সামনে থেকে একটা ছায়া এগিয়ে আসছে আমার দিকে।
যতদূর সম্ভব দূর থেকে বুঝা যাই প্রতিচ্ছবিটা মেয়ের।
প্রতিচ্ছবি টা যত এগিয়ে আসছে আমার নিঃশ্বাস ঘন হয়ে আসছে।
প্রতিচ্ছবি টা ধীরে ধীরে আরোও স্পষ্ট হচ্ছে।
এইটা তো আমার বড় বোন। আমার প্রাণে একটু পানি এলো।
বড় বোন আমাকে দেখে একটু তাকিয়ে থেকে বলতে লাগলো।।
---কি রে কি হলো আবার??
আমি শ্বাস ফেলছ বলতে লাগলাম।।
---এইতো ওয়াশরুমে গিয়েছিলাম ।।
বড় বোন ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে উনার রুমের দিকে হাটা দিলো।। আর যেতে যেতে বলতে লাগলো।।
---একটু আগেই না গেলি আবার যাবি।। তোর বহুমূত্র হলো নাকি ডায়াবেটিস রে।
বড় বোনের কথা শুনে আমি তো হতবাক হয়ে গেলাম।
আমি স্তব্ধ হয়ে সেখানেই দাঁড়িয়ে আছি।।

ঠিক ঐ সময় আমার রুমের লাইট অন হচ্ছে আবার অফ হচ্ছে।।
একটু আড়চোখে দেখলাম বেশ লম্বা একটা ছায়া।। হয়তো আমার সেই সাদা পাঞ্জাবিটা পড়েছে।। কারণ সেই পাঞ্জাবি টা আব্বা নিয়ে এসেছিলো আর সেটা অনেক বড় সাইজের ছিলো।

ছায়াটা আস্তে আস্তে করে এগিয়ে আসছে আমার দিকে।।
আর একটু একটু করে হাসার আওয়াজ পাচ্ছি।।
আমি হতবাক হয়ে তাকিয়ে আছি। হয়তো আমার মাথা ঘুরছে।

সমাপ্ত,,


Follow For More

Post a Comment

0 Comments